আনোয়ার হোছাইন , ঈদগাঁও;

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সফল অভ্যুত্থান পরবর্তী কক্সবাজারের ক্ষতিগ্রস্ত ঈদগাঁও থানার কার্যক্রম শনিবার ( ১১ আগস্ট) পুনরায় সচল হয়েছে।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সার্বিক নিরাপত্তায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে থানার দাপ্তরিক কার্যক্রম নবোদ্যমে শুরু হয়।

রামু সেনানিবাসের (১০ পদাতিক ডিভিশন কমান্ডার)- জিওসি ও কক্সবাজার এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল শেখ মোহাম্মদ সারওয়ার হাসান থানার কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।

শনিবার দুপুরে পরিদর্শনকালে তিনি বলেন, ছাত্র প্রতিনিধিদের প্রত্যাশা মতে সেনাবাহিনীর সার্বিক নিরাপত্তায় ও বাংলাদেশ আনসারের সহযোগিতায় থানার কার্যক্রম শীঘ্রই পরিপূর্ণতা পাবে।

তিনি আরো বলেন, থানার সেবা কার্যক্রম সম্পূর্ণ স্বাভাবিক করতে স্থানীয় ছাত্র প্রতিনিধিদের দাবি মতে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সম্পূর্ণ প্রশাসনিক সহায়তা দেয়া হবে।

জিওসি বলেন, থানার সেবা কার্যক্রম স্বাভাবিক করতে সেনাবাহিনীর ২৪/২৫ জন সদস্য ও আনসারের ৪/৫ জন সদস্য সার্বক্ষণিক কাজ করবে।

অভ্যুত্থান কালে ক্ষতিগ্রস্ত থানা ভবনের প্রথম ও দ্বিতীয় তলার ক্ষয়ক্ষতির চিত্র ঘুরে দেখেন।

পরে তিনি থানা ভবন সংলগ্ন তেতুলতলী কমিউনিটি সেন্টারে স্থানীয় প্রশাসন ও দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা ও সদস্যদের সাথে মতবিনিময় করেন।

মহাসড়কের ঈদগাঁও বাসস্টেশনে ট্র্যাফিক কার্যক্রমে দায়িত্ব পালনকারী শিক্ষার্থী ও ছাত্র প্রতিনিধিদের উপহার প্রদান করেন জিওসি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন রামু সেনানিবাস ২ ব্রিগেড কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ নুরুন্নবী, কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম, ঈদগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুবল চাকমা, ঈদগাঁও উপজেলা সিকিউরিটি কমান্ডার মেজর আরাফাত, সহযোগী মেজর মাহফুজ, কর্নেল জুনায়েদ, ঈদগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ শুভ রঞ্জন চাকমাসহ সংশ্লিষ্ট সেনা কর্মকর্তা ও স্থানীয় ছাত্র নেতৃবৃন্দ।